রনি আহম্মদ:
রাজশাহী মহানগরীর সিডিএম হাসপাতালে মরদেহ আটকিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে সিন্ডিকেট চক্রের সাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ শেষে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জানান, নগরীর রাজপাড়া থানাধীন লক্ষীপুর সিডিএম হসপিটালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তি মারা যান। নিহতের বাড়ি মেহেরপুর জেলায়। এরপর মৃতের স্বজনরা তাদের নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে লাশটি উঠানোর সময় তা আটকিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে মরদেহবাহী মাইক্রোবাস চক্রের দুই সদস্য আব্দুল্লাহ ও রাজন।
চক্রটির সদস্যরা বলেন, এখান থেকে কোনো মরদেহ নিজ এলাকায় নিয়ে যেতে হলে তাদের মাইক্রোবাসে করেই নিয়ে যেতে হয়। নয়তো, তাদের মরদেহ বহনকারী মাইক্রো সমিতিকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। পরে বাধ্য হয়ে মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) অভিযোগ করে। এরপর আরএমপি কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক বিষটি অবগত হয়ে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে মৃতের স্বজনদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর প্যারামেডিকেল রোডের মৃত মোসলেম খানের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ (৩২) ও দাসপুকুর বৌবাজার এলাকার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে মোঃ রাজনকে (৩৫) ডিবি শাখা আটক করে। এরপর আটকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল, বে-সরকারী হাসপাতাল এবং ক্লিনিক হতে লাশ বহনকারী গাড়ীর সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও দালাল চক্রের আরো ৫ সদস্যকে আটক করা হয়।
আটককৃত অপর ৫ জন হচ্ছে- মো. বাদশা (৪০), এমদাদুল হক (৪০), মো. বিপ্লব (৫০), জাহিদ হাসান (২৬) ও জানারুল ইসলাম (২৮)। তাদের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায়।
আরএমপির মুখপাত্র জানান, রাজশাহীর এই মরদেহবাহী মাইক্রোবাস চক্রের হাতে দীর্ঘ দিন থেকে জিম্মি হয়ে আছে সাধারণ মানুষ। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় তারা ধরা পড়তো না। তবে এমন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তাদের আটক করা হয় ।